গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (2025)

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (1)

ছবির উৎস, Getty Images

Article information
  • Author, মরিয়ম সুলতানা
  • Role, বিবিসি নিউজ বাংলা

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরো একটি গুজব আলোচনায় যেখানে বলা হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার পদ ছেড়েছেন।

শুধু তাই নয়, এসবে গুজবে বলা হচ্ছে- সেনাবাহিনী নাকি তার বাসভবন ‘যমুনা’ ঘেরাও করে রেখেছিলো এবং বিক্ষুব্ধ সেনাসদস্যরা বিভিন্ন বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

বিভিন্ন সুপরিচিত মিডিয়া হাউজের আদলে ফটোকার্ড বানিয়ে এসব অসত্য তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই সেসব কার্ড ফেসবুকে পোস্ট ও শেয়ার করেছেন।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও এ নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন।

বুধবার সকালে তিনি তার অফিশিয়াল ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লিখেছেন, “শুধু চেয়ারই না, প্রধান উপদেষ্টাসহ দেশ ছাড়লেন বাকি উপদেষ্টারাও। সোর্স: চালাইদেন।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ধরনের গুজবের সূত্র হিসাবে ‘চালাইদেন’ শব্দটি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিলো। তখন আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনেকেই নিজেরা মজা করে এই শব্দ নিজেদের ফেসবুক পোস্টে ব্যবহার করেছিলেন।

আপাতদৃষ্টিতে এসব তথ্য নিয়ে অনেকে হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করলেও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা এটিকে 'বিব্রতকর' বলছেন কারণ, ধারাবাহিকভাবে তাদের নাম, লোগো ব্যবহার করে এসব গুজবের অনেকগুলো ছড়ানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর:
  • বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে ‘অত্যাচার’- যেসব ভুয়া পোস্ট বিবিসি খুঁজে পেয়েছে

  • বাংলাদেশে হামলার ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে উগ্র ডানপন্থিরা

  • পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন?

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (2)

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (3)

সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত গুজব

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে যে গুজবটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সে বিষয়ে বেশকিছু পোস্ট করতে দেখা গেছে মুফাসসিল ইসলাম নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে।

সেখানে দাবি করা হয়েছে- যে প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানকে পরিবর্তন করার একটি পরিকল্পনা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে সেনাপ্রধান তা জেনে যান।

“এটা নিয়ে সেনাপ্রধান ও ইউনূসের মাঝে ভালোমন্দ অনেক কথাবার্তা হয়েছে…রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ড. ইউনূসকে ঘিরে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের রূদ্ধশ্বাস বৈঠক চলছে। বিক্ষুব্ধ আর্মি অফিসাররা ইউনূসকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন,” দাবি করা হচ্ছে সেই পোস্টে।

কিন্তু এমন দাবির কোনও সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটিকে গুজব বলে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোও।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরেকটি ‘গুজব’ ছড়িয়েছে যেখানে বলা হয়- বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে নয়, এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে অবস্থান করছেন।

কিন্তু এটিরও কোনো সত্যতা মেলেনি। বরং একাধিক ভারতের একাধিক সরকারি কর্মকর্তারা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছে এমন তথ্য 'ভিত্তিহীন'।

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (4)

ছবির উৎস, ASIF MAHMUD FACEBOOK

দিল্লি থেকে বিবিসি বাংলা’র সংবাদদাতা শুভজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলেছেন– এবং তারা প্রত্যেকে নিশ্চিত করেছেন ‘শেখ হাসিনা এখানে গত সপ্তাহে যেভাবে ছিলেন, এই সপ্তাহেও ঠিক একইভাবেই আছেন!’

এছাড়া, দূর্গাপূজা ঘিরেও মন্দির ও প্রতিমা ভাঙা বিষয়ক কিছু গুজবও বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে।

সরকার পরিবর্তনের পর থেকে গত দুই মাসে এসব ঘটনা আরও বেশি বেশি ঘটছে বলে জানাচ্ছে ফেক্টচেক বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো।

গুজব বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?

তথ্য প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বিবিসি বাংলাকে জানাচ্ছেন যে গত দু’মাসে বাংলাদেশে গুজবের পরিমাণ বেড়েছে ।

গুজব বৃদ্ধির একটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন তিনি। তার মতে, দীর্ঘসময় বাংলাদেশের মানুষ বাকস্বাধীনতা পায়নি এবং গণমাধ্যমগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।

“তখন সাধারণ মানুষ নিয়মিত গণমাধ্যমের ওপর আস্থা হারিয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর মানুষের নির্ভরতা বেড়েছে।”

সে কারণেই মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা দেখছে, সেটিকেই বিশ্বাস করতে চাইছে। পাঁচই অগাস্টের আগেও পক্ষে-বিপক্ষে নানান ধরনের গুজব ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে, যে গোষ্ঠী আন্দোলনের বিপক্ষে ছিল, তারা হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা দেশে অস্থিরতা চাচ্ছে, তারা গুজব ছড়াচ্ছে।”

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি মিডিয়া ও সরকারকে সচেতনতা তৈরি করতে আহ্বান জানান।

সাম্প্রতিক সময়ে যেসব গণমাধ্যমের নামে সবচেয়ে বেশি ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে, তাদের মধ্যে অন্যতম যমুনা টেলিভিশন।

প্রতিষ্ঠানটি প্রধান বার্তা সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, “এখন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে চোর চুরি করে তা কোথাও না কোথাও বিক্রি করছে। কিন্তু ক্রেতারা ধরতে পারছে না যে এটা নকল জিনিস।”

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের নামে ফটোকার্ড বানিয়ে মিথ্যা খবর প্রচারের প্রবণতা “কল্পনাতীত হারে বেড়েছে” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা কিছু কিছু ঘটনায় থানায় অফিশিয়ালি অভিযোগ করেছি।”

কারণ ওইসব তথ্য তাদের জন্য একদিকে যেমন মানহানিকর, অপরদিকে সেগুলো প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছিলো। সেইসাথে, পাঠক বা দর্শকরাও ঝুঁকির মাঝে পড়ছে।

“এই প্রবণতা বাড়ার একটি কারণ এমন হতে পারে যে আন্দোলনের সময় যমুনা টেলিভিশনের ব্যাপক জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছিলো। ওই সুবিধাকে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল এই কাজগুলো করছে।”

আপনার যা করণীয়

ভুল তথ্য চিহ্নিত করার জন্য যেসব পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়ে থাকে তার একটি হলো 'এসআইএফটি'।

এই পদ্ধতির উদ্ভাবক মাইক কউলফিল্ড।

এখানে 'এস' মানে হলো স্টপ; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনও খবর দেখামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে তা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনকি সেখানে কোনও মন্তব্যও করা যাবে না।

'আই' দিয়ে বুঝানো হয়েছে- ইনভেস্টিগেট দ্য সোর্স (উৎস যাচাই); একটি তথ্যের উৎস কী, এ প্রশ্ন নিজেকে প্রতিনিয়ত করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়ানো তথ্য যদি কোনও মিডিয়া আউটলেটের হয়, তাহলে ভাবতে হবে যে তারা যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্বাসযোগ্য এবং গ্রহণযোগ্য কি না।

যদি তথ্যের যোগানদাতা কোনও ব্যক্তি হয়, সেক্ষেত্রে তার স্বার্থ কী হতে পারে, তা ভাবতে হবে। তার উদ্দেশ্য কী? রাজনৈতিকভাবে তিনি কোন মতাদর্শ ধারণ করেন? অথবা, তিনি ব্যক্তিগতভাবে কোনও পক্ষ অবলম্বন করছেন কি না?

আর যদি কোনও প্রতিষ্ঠান হয়, সেক্ষেত্রেও তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে ভাবতে হবে। তারা কি কিছু বিক্রি করতে চাচ্ছে? তাদেরকে অর্থ যোগায় কারা? তাদের রাজনৈতিক আগ্রহ কোন দিকে?

নিজেকে নিজে এই প্রশ্নগুলো করতে কয়েক মিনিট লাগবে মাত্র এবং এর উত্তর বিশ্লেষণের ওপর নির্ভর করবে যে আপনি সোর্স বা উৎসকে কতটা বিশ্বাস করবেন।

এসআইএফটি মেথডের 'এফ' দিয়ে বুঝানো হচ্ছে ফাইন্ড বেটার কাভারেজ; উপরের ধাপের মাধ্যমে বিশ্লেষণের পর যদি সোর্সের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আপনার মনে প্রশ্ন থাকে, তাহলে আপনাকে আরেকটু তলিয়ে ভাবতে হবে।

সেক্ষেত্রে আপনি যা খুঁজছেন, তা আরও বেশি গ্রহণযোগ্য নিউজ আউটলেট বা ফ্যাক্টচেকিং সার্ভিসে এসেছে কি না এবং তারাও একই তথ্য প্রচার করছে কি না, তা খুঁজে দেখতে হবে।

এসবের জন্য গুগলের কিছু টুলস আছে। যেমন, গুগল নিউজ। নিউজ আউটলেটগুলো কোনও নির্দিষ্ট বিষয়ে কী কাভার করেছে, তা এখান থেকে দেখা যাবে। গুগল ফ্যাক্ট চেক সার্চ ইঞ্জিনও একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য, এ ধরনের সার্চ ইঞ্জিন শুধু গুগলে না, অন্যান্য ব্রাউজারেও আছে। যেমন, টিনআই কিংবা ইয়ানডেক্স। ইয়ানডেক্স দিয়ে ভিডিও'র সত্যতাও যাচাই করা যায়।

সর্বশেষ ধাপ হলো- 'টি', মানে ট্রেস দ্য ক্লেইম টু ইটস অরিজিনাল কনটেক্সট। উপরের তিনটি ধাপ-ই অনুসরণ করার অর্থ হলো, আপনি আরও ভালো এবং নিখুঁত সংবাদের খোঁজ করছেন।

অনেক সময় এমনটা হতেই পারে যে কোনও বিশ্বাসযোগ্য মিডিয়াতে একটি খবর ঠিক-ই প্রচারিত হয়েছে, কিন্তু সেখানে মূল গল্পটা উঠে আসেনি। সেক্ষেত্রে আপনাকে আলাদাভাবে ওই গল্পের খোঁজ চালাতে হবে।

বিবিসি বাংলার আরও খবর:
  • ক্ষমতাচ্যুত শাসকরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে কোথায় যায়?

  • কালেমা লেখা কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করছে কারা?

  • হঠাৎ ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে কেন এত আলোচনা?

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (5)

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান পয়েন্টার ইনস্টিটিউটের বরাতে ফ্যাক্টচেকার সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ইন্টারনেটে কোনও তথ্য সম্পর্কে সন্দেহ করা কিংবা তথ্যটি শেয়ার করার আগে যাচাই-বাছাই করার জন্য কিছু স্পষ্ট সংকেত রয়েছে, যেগুলোকে 'রেড ফ্ল্যাগ' বলা হয়।

তিনি জানান, ইন্টারনেটে কোনও তথ্য দেখে যদি বিস্ময় বা বিতৃষ্ণা জাগে, তাহলে তথ্যটি শেয়ার করার আগে যাচাই করতে হবে। কিংবা, ইন্টারনেটে পাওয়া কোনও তথ্যকে যদি আপনার মতামতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলেও মনে হয়, সেক্ষেত্রেও তা শেয়ার করার আগে যাচাই করতে হবে।

বিশেষ করে, কোনও তারিখ বা লেখকের নামহীন তথ্য বা নিবন্ধ মিথ্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

যদি কোনও তথ্য এমন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে নেয়া হয়, যে অ্যাকাউন্টের ব্যবহারকারীর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় না এ সকল অ্যাকাউন্ট কিংবা তথ্য ফেইক হতে পারে। এমনকি কারও প্রোফাইল ভেরিফায়েড থাকার অর্থ এই নয় যে তারা যা পোস্ট করছে সে বিষয়টিই সত্য।

কোনও কোনও ক্ষেত্রে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য একজন সাধারণ ব্যবহারকারী অনলাইনে রাজনীতিবিদ বা সেলিব্রিটির ছদ্মবেশ ধারণ করতে পারে, বলছিলেন তিনি।

“এখন অনেক মিডিয়া হাউজের নামে ফটোকার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানের লোগো ব্যবহার করে খবরটি শেয়ার করা হচ্ছে, সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হ্যান্ডেলগুলোতে চোখ রাখলেও সত্য-মিথ্যা বোঝা যায়,” তিনি যোগ করেন।

  • এবার কি ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণের পথে’ হাঁটবে সরকার?

  • গণঅভ্যুত্থানে কে কাকে 'মাস্টারমাইন্ড' বলছে?

  • অধ্যাপক ইউনূসকে কটূক্তির অভিযোগেও মামলা কেন?

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (6)

অনেকসময় কোনও ব্যক্তির বরাতে ফটোকার্ড বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনও ‘খবর’ প্রচার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে যার বরাতে খবরটি দেওয়া হচ্ছে, তার ফেসবুক পেজও যাচাই করা যেতে পারে। কিংবা, সম্ভব হলে সরাসরি ওই ব্যক্তির সাথেও যোগাযোগ করা যায়।

“তবে ফটোকার্ড বানালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওরা ফন্ট নকল করতে পারে না। আবার, যে ছবিটা ব্যবহার করছে, সেগুলোর ফ্রেম হুবহু ওই গণমাধ্যমের হচ্ছে না। এগুলো খেয়াল রাখতে হবে।”

এমনকি গণমাধ্যমে প্রচারিত সকল তথ্যকে চট করে বিশ্বাস করতেও নিরুৎসাহিত করেন মি. চৌধুরী।

গণমাধ্যমে প্রচারিত তথ্যে একমাত্র সূত্র হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উল্লেখ করা হলে কিংবা একটি তথ্য নিয়ে বেশিরভাগ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত না হলে তা বিশ্বাস করার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে বলেন ফ্যাক্টচেকাররা।

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (7)

ছবির উৎস, Getty Images

কোনও তথ্য নিয়ে সন্দেহ হলে ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ, গ্রুপ পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। ঘরে বসে নিজে নিজেও প্রযুক্তির সহায়তায় তথ্য যাচাই করা যায়।

ফ্যাক্টচেকাররা বলছেন ছবি যাচাই করার সবচেয়ে সহজ উপায় হছে ইমেজ সার্চ। বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজ সার্চের অপশন দেখা যায়। গুগলের ক্ষেত্রে এর নাম গুগল ইমেজ সার্চ।

এছাড়া, গুগল ও ফেসবুকে অ্যাডভান্স পদ্ধতিতে সার্চ করা যায়।

ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেও পাঠককে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। কোনও ওয়েবসাইট নিয়ে যদি সন্দেহ হয়, তাহলে আইসিএএনএন ওয়েবসাইট থেকে তার সত্যতা সহজেই যাচাই করা যাবে।

অনেকসময় স্থান নিয়েও গুজব ছড়ানো হয়। সেক্ষেত্রে গুগল স্ট্রিট ভিউ অপশন ব্যবহার করা যায়।

গুজব: এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মানুষ কীভাবে বুঝবে? - BBC News বাংলা (2025)

References

Top Articles
Latest Posts
Recommended Articles
Article information

Author: Allyn Kozey

Last Updated:

Views: 6471

Rating: 4.2 / 5 (63 voted)

Reviews: 94% of readers found this page helpful

Author information

Name: Allyn Kozey

Birthday: 1993-12-21

Address: Suite 454 40343 Larson Union, Port Melia, TX 16164

Phone: +2456904400762

Job: Investor Administrator

Hobby: Sketching, Puzzles, Pet, Mountaineering, Skydiving, Dowsing, Sports

Introduction: My name is Allyn Kozey, I am a outstanding, colorful, adventurous, encouraging, zealous, tender, helpful person who loves writing and wants to share my knowledge and understanding with you.